একীভুত শিক্ষা্ কী? বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ও একীভূত শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা; একীভূত শিক্ষার প্রক্রিয়া।


 একীভুত শিক্ষা্ কী?

একীভূত শিক্ষা হচ্ছে একটি প্রক্রিয়া, যা প্রত্যেক শিশুর চাহিদা ও সম্ভাবনা অনুযায়ী শিখন ও জ্ঞান অর্জনের প্রতিবন্ধিকতা সীমিত অথবা দূরীকরণের মাধ্যমে শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি ঘটায়। সকল শিশুকে একই শ্রেণিতে রেখে, একই পাঠ্যপুস্তক ও কারিকুলামের আওতায় নিয়ে, নিজ নিজ চাহিদা ও সম্ভাবনা অনুযায়ীতাদের শিক্ষার প্রয়োজন মেটানোকেই একীভূত শিক্ষা বলে। এ প্রক্রিয়া লক্ষ্য হচ্ছে শিক্ষার সুযোগসমূহের একটি উল্লেখযোগ্য প্রভাব সৃস্টি করা সে সব শিশুর জন্য-
Ø যারা স্কুলে ভর্তি হয়েছে কিন্তু বিভিন্ন কারণে যথাযথভাবে শিক্ষা অর্জন করতে পারছে না।
Ø যারা স্কুলে ভর্তি হয়নি অথচ যথাযথ প্রয়োজন মেটানো গেলে তারা স্কুলে যেতে পারে; পড়াশুনা করতে পারে, অন্যদের সাথে মেলামেশা করতে পারে, যদি তাদের পরিবার সমাজ, স্কুল এবং শিক্ষা-ব্যবস্থা তাদের প্রয়োজনের প্রতি বিশেষ দায়িত্বশীল ও যত্নবান হয় এবং তা পূরণের চেষ্টা করে।
ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, লিঙ্গ (পুরুষ, মহিলা ও হিজরা), সামাজিক শ্রেণি বিভাজন ও ব্যক্তি সামর্থ্যের পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও সকল শিশুকে প্রাথমিক শিক্ষার অভিন্ন কারিকুলামের মধ্যে রেখে মূলদ
ধারার শিক্ষায় সম্পৃক্ত করে প্রত্যেককে তার নিজ নিজ যোগ্যতা অনুযায়ী শিক্ষা প্রদান করার চলমান প্রক্রিয়াই হচ্ছে একীভূত শিক্ষা।
‘কীভূত শিক্ষা’র অর্থ হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী এবং অন্যান্য (অ-প্রতিবন্ধী) শিক্ষার্থীর একই সঙ্গে অধ্যয়ন।’

বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ও একীভূত শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা; একীভূত শিক্ষার প্রক্রিয়া

বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা
Ø মূলধারার শিক্ষা: সাধারণ শিক্ষার্থীর সাথে প্রতিবিন্ধী শিক্ষার্থীরাও পড়বে কিন্তু তাদের জন্য কোন বিশেষ ব্যবস্থাপনা থাকবে না।
Ø সমন্বিত শিক্ষা: সাধারণ শিক্ষার্থীর সাথে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরাও পড়বে কিন্তু তাদের জন্য পিৃথক শ্রেণি কক্ষ থাকবে না।
Ø বিশেষ শিক্ষাঃ বিশেষ ব্যবস্থাপনায় শুধুমাত্র প্রতিবন্ধী শিশুর বিশেষ স্কুলে শিক্ষা প্রদান;
Ø একীভূত শিক্ষাঃ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা সাধারণ শিক্ষার্থীর সাথে একই শ্রেণি কক্ষে পড়বে একটু বিশেষ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে।

একীভূত শিক্ষা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার মূলনীতিসমূহ
1.    ল শিশুর জন্য শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধির জন্য প্রবেশগম্যতা ও অংশগ্রহণের সুযোগ প্রদান করা।
2.   ইতিবাচক নোভাব তৈরি করা
3.   শিক্ষা ও কীভূত শিক্ষা সম্পর্কে সকল শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা।
4.   অভিভাবকদের বিভিন্ন কাযক্রমে সংযুক্ত করা
5.   শিশুর সীমার উপর ভিত্তি করে শিক্ষা প্রদানের প্রক্রিয়া নির্ধারণ করা।
6.   ইপি বিকাশ ঘটানো।

একীভূত শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা
1.    Disabilitis Information Survey এর (August, 2016) তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে ১৫,৭৩,৬২৭ জন প্রতিবন্ধি মানুষ রয়েছে।
2.   সঠিক শিক্ষা ও পরিচর্যা পেলে এ সমস্ত মানুষ সমাজে নানা ক্ষেত্রে অবদান রাখতে পারে। বিশেষ করে অটিজম বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন মাইন্ড গ্রুপের শিশুরা সময়মত সঠিক শিক্ষা ও পরিচর্যা পেলে  তারাও সমাজে অবদান রাখতে পারে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে এ সমস্ত শিশুরা একীভূত শিক্ষার দ্বারা সঠিক ব্যবস্থাপনায় যোগ্যতা ও মেধা অনুযায়ী শিক্ষা লাভ করে অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে পারে।
3.   বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে পদার্পপণ রতে হলে এসডিজি এর ৪ নং লক্ষ্য সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিতকল্পে একীভূত শিক্ষা বাস্তবায়নের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যে দ্যোগ গ্রহণ করেছে।

একীভূত ধারণার ক্রমবিকাশ
লের সাথে মিশিয়ে দেয়া
সমন্বিত করা
একীভূত করা
সম্পূর্ণ একীভূত সমাজ গড়া
 






































إرسال تعليق (0)
أحدث أقدم