অটিজম কী? অটিজমের ধরণ বা প্রকারভেদ এবং রেডফ্ল্যাগসমূহ।


অটিজম বা অটিজম স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডার কী?
অটিজম হলো মস্তিষ্কের স্বাভাবিক বিকাশজনিত সমস্যা, যাকে সমন্বিতভাবে Autism Spectrum Disorder hf ASD বলা হয়। “Spectrum” বলতে অটিজম থাকা শিশুর নানা লক্ষণ, দক্ষতা, এবং প্রতিবন্ধকতার পর্যায় অথবা সীমবিদ্ধতার ব্যাপকতাকে বুঝায় যা একটি অটিজম শিশুর মাঝে থাকতে পারে। এটা শিশুর মাঝে স্বল্পমাত্রায় বা গুরুত্বর মাত্রায় থাকতে পারে।
Diagnostic and Statical Manual of Mental Disorders  Fouth Edition- Text Revision (DSM-IV-TR) এর গাইড লাইন অনুযায়ী একটি শিশু অটিস্টিক কিনা তা নির্ণয় করা হয়। এখানের পাঁচ ধরনের প্রতিবন্ধকতার স:জ্ঞ নির্ধারণ করা হয়েছে। অনেক সময় অচিজমকে Pervasive Development Disorder এর সাথে একীভূত করা হয়।
DSM-IV-TR এ পাঁচ ধরনের অটিজমের কথা বলা হয়েছে। যথা:-
ü অটিজম ডিজঅর্ডার (ক্লাসিক অটিজম)
ü এসপারজার ডিজঅর্ডার (এসপারজার সিন্ড্রোম)
ü পারভেসিভ ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডার নট আদারওয়াইজ স্পেসিফিক (PDD-NOS)
ü রেটস ডিজঅর্ডার (রেট সিন্ড্রোম)
ü চাইল্ডহুড ডিসইন্ট্রিগ্রেশন ডিজঅর্ডার (CDD)
অটিজমের লক্ষণসমূহ একেক শিশুর ক্ষেত্রে একেক রকম হয়। কিন্তু সাধারলভাবে এদের তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়।
1.     সামাজিক প্রতিবন্ধকতা
2.    যোগাযোগ স্থাপনে সমস্যা/প্রতিবন্ধকতা
3.    পূণরাবৃত্তিমূলক ও এক আচরণ বার বার করা (Repititive and Stereotyped)
অটিজম আছে এমন শিশুদের সামাজিক ও যোগাযোগ স্থাপনে দক্ষতা স্বাভাবিক নিয়মের তুলনায় ভিন্ন। অভিভাবকরাই সর্ব প্রথম শিশুর মধ্যে অস্বাভাবিক আচরণ লক্ষ্য করে। একই বয়সের অন্যান্য শিশুদের তুলনা করলে অসংগতিটা সহজেই চোখে পড়ে। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে অটিস্টিক শিশুদের প্রাথমিক পর্যায়ে ব্যতিক্রম বলে মনে হয়। অনেক শিশু তাদের এক বছর পূর্ণ হবার আগেই কোন একটি বস্তুর প্রতি অত্যাধিক আসক্ত হয়, চোখে চোখে তাকায় না এবং আদান-প্রদানমূলক খেলায় অংশ নিতে চায় না। বাবা মায়ের সাথে আধো কথা বলে যেমন- বা, বা-বু-বু-দা দা, মা মা বলে। কিছু কিছু শিশু ২/৩ বছর স্বাভাবিকভাবেই বেড়ে ওঠে। কিন্তু এর পর থেকে অন্যদের বিষয়ে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে, নিরব হয়ে যায় এবং সামাজিক উদ্দীপনারপ্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে অথবা প্রতিক্রিয়াহীন থাকে। স্বাভাবিক বিকাশ ধারা কমে আসা বা সম্পূর্ণরূপে হারিয়ে যাওয়াকে রিগ্রেশন নামে অভিহিত করা হয়, যা অটিস্টিক শিশুর মাঝে দেখা যায়।
সামাজিক প্রতিবন্ধকতা
অটিজম আছে এমন অধিকাংশ শিশুরা তাদের দৈনন্দিন সামাজিক যোগাযোগ স্থাপনের কৌশল ভিন্ন। এই রকম অটিস্টিক শিশুর লক্ষণসমূহ:-
q খুব সামান্য চোখে দেখে।
q আদের আশে পাশে উপস্থিত লোকদের কথা শুনতে আগ্রহ দেখায় না এবং অন্যদের কথায় সাড়া দেয় না।
q তারা সহসা নিজেদের আনন্দ অন্যের সাথে ভাগ করতে পারে না অথবা পছন্দের জিনিস আঙ্গুল দিয়ে দেখায় না।
q অন্যরা রাগ, দু:খ বা স্নেহ প্রদর্শন করলেও কোনপ্রতিক্রিয়া দেখায় না বা নির্লিপ্ত থাকে।
q সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা যায়, অটিজম আছে এমন শিশুরা সাধারণত সামাজিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত স্বাভাবিক সামাজিক আবেগীয় ইঙ্গিতগুলো বুঝতে পারে না।
যোগাযোগ স্থাপনে সমস্যা/প্রতিবন্ধকতা
আমেরিকান একাডেমিক অব পেডিয়াট্রিক ডেভেলপমেন্টাল মাইলস্টোন (American Academy of Pediatrics Developmental Milestones) এর গবেষণা মতে এক বছরের স্বাভাবিক শিশু একটি দ’টি শব্দ বলতে পারে। কেউ তার নাম ধরে  ডাকলে সে সেই শব্দের দিকে তাকাতে পারে। নিজের পছন্দের খেলনা আঙ্গুল দিয়ে দেখাতে পছন্দ করে, কোনো কিছু পছন্দ না হলে তাদের মুখভঙ্গিমায় ‘না’ –বোধক বিষয়টি প্রকাশ করে। অটিস্টিক শিশুর বিকাশের ধাপগুলো ধারাবাহিকভাবে নাও আসতে পারে।
q অটিস্টিক শিশুর নাম ধরে ডাকলে বা শব্দ করে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে সে উত্তর দেয় না বা দেলীতে সাড়া দেয়।
q কাউকে কোনো কিছু দেখানো বা নির্দেশ করার ক্ষেত্রে তারা পারে না অথবা খুব ধীরে বা দেরীতে এ কাজ করে।
q প্রথম বছরে শিশুসুলভ আওয়াজ বা শব্দ করলেও পরবর্তীতে এটা বন্ধ হয়ে যায়।
q দেরীতে ভাষা শেখে।
q নিজস্ব সংকেত বা ছবির মাধ্যমে যোগাযোগ স্থাপন করতে শেখে।
q একটি শব্দ বা বাক্যের অংশ বার বার বলে, প্রায় সময় তারা অর্থপূর্ণ বাক্য তৈরিতে ব্যর্থ হয়।
q একটি শব্দ বা বাক্য তারা শুনে, সেই শব্দ বা বাক্যকে তারা হুবহু বলে। একে ইকোলালিয়া (echolalia) বলে।
q অপরিচিত ও অপ্রাসঙ্গি শব্দ ব্যবহার করে যা শুধুমাত্র শিশুদের সংশ্লিষ্টরাই বুঝতে পারে।
পূনরাবৃত্তিমূলক আচরণ:
অটিস্টিক শিশুদের একই কাজ বার বার করার প্রবনতা দেখা যায়। এসকল আচরণ মাঝে মাঝে অতিমাত্রায় চোখে পড়ার মত। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এটা খুবই সামান্য যা চোখে পড়ার মত না। উদাহরণ স্বরূপ: কোনো কোনো শিশু বারে বারে হাত নাড়া বা বিশেষ ভঙ্গিতে হাঁটা বা চোখের সামনে বা হাত উপরে তুলে ঘোরানো, নিজের আঙ্গুলগুলো নাড়ে যা দেখলে ইশারা মনে হয়। আবার কেউ কেউ আঙ্গুল দিয়ে চোখ ঘোরানোর চেষ্টা করে। এই আচরণগুলো বার বার করাকে “স্টেরিওটাইপ” (Stereotype) আচরণ বলে।
অটিজমের সাথে সংশ্লিষ্ট চ্যালেঞ্জসমূহ:
’রেট সিন্ড্রোম’ (Rett Syndrom) এবং ‘চাইল্ডহুড ডিসইন্ট্রিগ্রেটিভ ডিজঅর্ডার’ (CDD), অটিজম এর দ’টি দুর্লভ ধরণ বা প্রকার যা মানসিক বিকাশকে বাঁধাগ্রস্ত করে। প্রতি ১০ থেকে ২২০০ মেয়ের মধ্যে মাত্র একজনের ‘রেট সিন্ড্রোম’ দেখা যায়। অপর দিকে এক লক্ষ অটিজম থাকা শিশুদের মধ্যে সর্বাধিক ২ জনের মধ্যে চাইল্ডহুড ডিসইন্ট্রিগ্রেটিভ ডিজঅর্ডার দেখা যায়। ‘রেট সিন্ড্রোম’ সাধারণত মেয়েদের মধ্যে দেখা যায়। ’রেট সিন্ড্রোম’ এ আক্রান্ত শিশুদের মধ্যে কথা বলায় জড়তা বা চলাচলের সমন্বয়হীনতা পরিলক্ষিত হয়। ফিজিক্যাল, অকুপেশনাল ও স্পীচ থেরাপী অনেকটা সাহায্য করলেও ’রেট সিন্ড্রোম’ এর চিকিৎসার নিদিষ্ট কোন  পদ্ধতি নেই।
অটিজম থাকা শিশুর মাঝে আরো অন্যান্য কিছু চ্যালেঞ্জ থাকতে পারে:-
ইন্দ্রিয়গত চ্যালেঞ্জ
·       অনেক অটিস্টিক শিশু দেখা, শোনা, গন্ধ, স্বাদ ও স্পর্শের অতি সক্রিয়/সংবেদনশীল বা প্রতিক্রিয়াহীন থাকতে পারে।
·       কিছু কিছু হালকা স্পর্শ অথবা তাদের কাপড়ের স্পর্শের অনুভূতি তার কাছে অস্বস্তিকর, অপছন্দের অথবা অ-আরামদায়ক হতে পারে।
·       অনেক শিশুর জন্য বিশেষ কোনো শব্দ তার জন্য বেদনাদায়ক/যন্ত্রণাদায়ক হতে পারে; যেমন-ভ্যাকুয়াম ক্লিনারের আওয়াজ, টেলিফোনের রিংটোন অথবা হঠাৎ ঝরের আওয়াজ ইত্যাদি। এমন আওয়াজ শুনলে অনেক সময় সে তার কান ঢাকে এবং চিৎকার করে। গবেষকগণ অনুভূতির বহুবিদ ধরনের তথ্যের সমন্বয় থেকে এই অনভিপ্রেত প্রতিক্রিয়াগুলো নির্ণয় করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
ঘুমর সুবিধা বা চ্যালেঞ্জ
অটিস্টিক শিশুদের ঘুম আসা বা ঘুমিয়ে থাকার অথবা ঘুমের সমস্যা থাকে। এই সমস্যার কারণে তাদের মনোযোগ কমে যায় অথবা কাজের প্রতি তাদের সক্ষমতা কমে যায় এবং তার আচরণে প্রভাব ফেলে। আরো উল্লেখ্য এই ঘুমর অসুবিধা থাকা অটিস্টিক শিশুর পিতা মাতা সর্বোপরি পুরো পরিবারকে বিচলিত করে এবং তাদের সার্বিকভাবে অসুস্থ করে তোলে।
ঘুমের সমস্যা উপশমে আচরণের পরিবর্তন কখনো সুফল এনে দেয়; যেমন – ঘুমের সময়ের রুটিন অনুসরণ করা অথবা বিছানায় যাবার রুটিন তৈরি করা। কিছু কিছু শিশু ঘুমের ঔষধ ব্যবহার করলে ভাল ঘুমায় ; যেমন – মেলাটোনিন একটি হরমোন যা শরীরের ঘুম ও জাগরণের সাইকেলকে নিয়ন্ত্রণ করে।
বুদ্ধি প্রতিবন্ধকতা
অটিস্টিক শিশুর মাঝে কিছু মাত্রায় বুদ্ধি প্রতিবন্ধকতা আছে। অভীক্ষা প্রয়োগ করলে কিছু ক্ষেত্রে স্বাভাবিক সামর্থ্য থাকলেও বিশেষ করে বুদ্ধিবৃত্তীয় কোজে এবং ভাষার ক্ষেত্রে তারা দুর্বল হয়ে থাকে। উদাহরণ স্বরূপ: অটিজম আছে এমন একটি শিশু যার কোনো কিছু দেখে কাজ করার ক্ষেত্রে যেমন (একত্রে পাজেল মেলানোর ক্ষেত্রে) ভাল করে; কিন্তু ভাষার ব্যবহার করে কোনো সমস্যা সমাধানের কাজে ভাল নাও করতে পারে। শিশু যাদের এ্যাসপারজার সিন্ড্রোম আছে তাদের কখনও স্বাভাবিক বা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশী ভাষাগত দক্ষতা থাকে এবং বুদ্ধি ও ভাষার ব্যবহারে কোনো দেরী হয় না।
খিচুনীর সমস্যা
অটিস্টিক শিশুদের চারজনের একজনের মধ্যে খিচুনী আছে। কারো খিচুনী শুরু হয় শিশুকালে কারো শুরু হয় কৈশোরে। মস্তিষ্কের অভ্যন্তরে তড়িৎ প্রবাহের অস্বাভাবিক কার্যক্রমই খিচুনীর কারণ।
·       খিচুনী হলো নিয়ন্ত্রণহীনভাবে সারা শরীরে ঝাকুনি অনুভূত হওয়া অথবা অস্বাভাবিক নড়াচড়া, কখনও কখনও ঘুম  কম হওয়া বা অনেক জ্বরের কারণে খিচনী হতে পারে।
·       একটি ইকেট্রোএনসেফালোগ্রাম (ইইজি) রেকর্ড মস্তিষ্কে বৈদ্যূতিক তরঙ্গের কার্যক্রম পরীক্ষা করে, যা শিশুর মাঝে খিচুনীর অবস্থা জানতে সাহায্য করে থাকে। যদিও কিছু শিশুর অস্বাভাবিক ইইজি রেকর্ড থাকলেও খিচুনীর সমস্যা নাও থাকতে পারে। খিচনী প্রতিরোধক ঔষধ দিয়ে এই খিচুনীর চিকিৎসা করা যায়। কিছু খিচুনী প্রতিরোধক ঔষধ শিশুর আচণে প্রভাব ফেলতে পারে।
·       অটিজম থাকা শিশুর আচরণ পরিবর্তনে নিবিড়ভাবে নজর দিতে হবে। বেশীরভাগ ক্ষেত্রে চিকিৎসকগণ কম মাত্রার ঔষধ প্রয়োগ করে কার্যকারিতা লক্ষ্য করেন। খিচুনী প্রতিরোধক ঔষধ খিচুনী হবার প্রবনতাকে কমিয়ে দেয়; কিন্তু সবার ক্ষেত্রে তা প্রতিরোধ করা যায় না। এ বিষয়ে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়াই শ্রেয়।
ফ্রেজাইল এক্স সিন্ড্রোম:
ফ্রেজাইল এক্স সিন্ড্রোম একটি জেনেটিক অসুবিধা এবং বেশির ভাগ বুদ্ধি প্রতিবন্ধকতার সাধারণ ধরণ যা বংশগতভাবে প্রকাশিত লক্ষণগুলো অটিজমের সাথে মিলে যায়। এই নামটি এক্স ক্রমোজমের একটি অংশ থেকে এসেছে যেখানে ক্ষতিগ্রস্ত অংশটি প্রকাশিত হয়েছে এবং যা খুবই নাজুক । ফ্রেজাইল এক্স ক্রোমোজম পরিবর্তিত হয় যাকে মিউটেশন বলে। কিন্তু ব্যক্তির সমান্য আকারের একটি মিউটেশন হয়; যার কোন লক্ষণ থাকে না। আবার যাদের বড় আকারের মিউটেশন হয় তাদের গুরুতর লক্ষণ প্রকাশিত হয়। সনাক্তকরণ বৈশিষ্ট্যের মধ্যে প্রতি তিনজিন শিশুর মাঝে একজনের ফ্রেজাইল এক্স সিন্ড্রোম বৈশিষ্ট্য থাকতে পারে।
অটিজম থাকা শিশুর ফ্রেজাইল এক্স সিন্ড্রোম পরীক্ষা করতে হবে। বিশেষ করে বাবা মা যদি পরবর্তী সন্তান নিতে চান অথবা, পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা যারা সন্তান নেবার পরিকল্পনা করেছেন  তারাও ফ্রেজাইল এক্স সিন্ড্রোম পরীক্ষা করে নিতে পারেন।
টিউবেরাস স্কেলেরোসিস
এটি একটি দুর্লভ জেনেটিক অসুবিধা যা মস্তিষ্কে বা অন্য অঙ্গে নন ক্যানসারাস টিউমার তৈরি করে। ১ থেকে ৪% অটিজম থাকা শিশুর মাঝে এই টিউবেরাস স্কেলেরোসিস থাকতে পারে। এর কারণ হচ্ছে, জেনেটিক বা বংশগতি মিউটেশন; বুদ্ধি প্রতিবন্ধিতা, খিচুনী, অন্যান্য শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যগত সমস্যার সাথেও এর সম্পৃক্ততা থাকতে পারে। চিকিৎসা দিয়ে সম্পূর্ণ আরোগ্য লাভ করা না গেলও এর অনেকগুলো লক্ষণ চিকিৎসা করা সম্ভব।
পেটের সমস্যা
অটিস্টিক শিশুদের মাঝে প্রায়শই হজমের অসুবিধা, পেটের ব্যথা, ডায়রিয়া, কৌষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাসটাইসিস, পেটের গ্যাস, বমি ইত্যাদি উপসর্গগুলি দেখা যেতে পারে। শিশুর কোনো খাবারেরপ্রতি এলার্জি এর কারণ। পেটের সমস্যার বিষয়টি যথেষ্ট পরিষ্কার জানা না থাকলে একজন পেটের রোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।
কিছু সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, অটিস্টিক শিশুদের পেটের সমস্যার লক্ষণ মনে হলেও এটা সব শিশুর জন্য প্রযোজ্য নয়। ীশশুটির শারীরিক ও আচরণগত অসুবিধার সাথে তার খাবারের সম্পৃক্ততা আছে। এ বিষয়ে পেটের রোগ বিশেষজ্ঞ ও পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিলে ভাল হয়।
উদ্ভূত মানসিক অসুস্থতা
অটিস্টিক শিশুর মাঝে উদ্বিগ্নতা, এটেশন ডেফিসিট একটিভ ডিজঅর্ডার (ADHD) অথবা বিষন্নতা হতে পারে। গবেষণায় দেখা যায় অটিজম থাকা ব্যক্তিরা স্বাভাবিক ব্যক্তিদের চেয়ে মানসিক অসুস্থতার ক্ষেত্রে বেশঅ ঝুঁকিপূর্ণ হয়। এই অদ্ভূত মানসিক অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য ঔষধ অথবা আচরণ চিকিৎসা বা মনোচিকিৎসা দিয়ে তাদেরকে তাদের নিজের আচরণ নিয়ন্ত্রণ কৌশল শেখানো যায় ও অটিজমের চরম অবস্থার নিয়ন্ত্রণ করে লক্ষণগুলো কমানো যায়। এ অবস্থায় শিশুর আচরণ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম ফরপ্রসু হয়।
অটিজম স্পেক্ট্রাম ডিজঅর্ডার: এটা কঅ সচারচর দেখা যায়?
অটিজমের ব্যাপকতা সম্পর্কে পরিমাপ করতে গিয়ে বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গেছে যে অটিস্টিক শিশুর সংখ্যা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন হয়েছে। ২০০৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রে সরকারিভাবে অটিজমের ব্যাপকতা সম্পর্কে জরিপ করা হয়। সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনসন এর জরিপে দেখা যায় যে, এ হার বিগত বছরগুলির জরিপের হার থেকে অনেক বেশি। সমগ্র যুক্তরাষ্ট্রে ১৪টি সম্প্রদায়ের ৮ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের স্বাস্থ্য ও স্কুল রেকর্ডে উপর ভিত্তি করে জরিপ করে। দেখা যায় যে, প্রতি ১১০ জন শিশুর মধ্যে ১ জন শিশু অটিজমে আক্রান্ত েএবং দেখা যায় যে, অটিজমে আক্রান্ত হওয়ার ঝুকি মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের ৪-৫ গুল বেশি থাকে।
অটিজমের হার আসলেই বাড়ছে কিনা এ নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মাঝে য়থেষ্ট মতভেদ রয়েছে। পূর্বতন জরিপগুলোর পর অটিজম সনাক্ত করা এবং নির্ণয় করার ক্ষেত্রে অনেক পরিবর্তন এসেছে। এছাড়া সাম্প্রতিক আরো কিছু গবেষণা রিপোর্টে দেখা গেছে পূর্বের চাইতে অধিকতর অটিজম লক্ষণ সনাক্ত হচ্ছে।
অটিজম কেন হয়?
বিশেষজ্ঞদের মতে এখনও অটিজমের সুস্পষ্ট কোনো কারণ জানা যায়নি। তবে গবেষণায় ধারণা করা হচ্ছে যে, এই বিষয়ে বংশগতি এবং পবিশের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
বংশগতি
অভিন্ন যমজদের ক্ষেত্রে যাদের জেনেটিক সংকেত হুবহু এক থাকে, তাদের একজন যদি অটিজম আক্রান্ত হয় আর একজনের অটিজম হবার ঝুঁকি থাকে প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জনের। কোনো পরিবারে যদি একটি সন্তানের অটিজম থাকে, পরবর্তী সন্তানদের শতকরা ৩৫ ভাগ ক্ষেত্রে অটিজম হবার ঝুঁকি থাকে। গবেষকরা বলেছেন, যেই জীনগুলো অটিজম এর জন্য দায়ী বা অটিজম হবার ঝুঁকিকে বাড়িয়ে দেয়, সেই জীনগুলোকে সনাক্ত করা শুরু হয়েছে।
তবে এখনও পর্যন্ত বৈজ্ঞানিকেরা ঝুঁকিপূর্ণ জীনগুলো সনাক্ত করারব্যাপারে পুরোপুরি সফলতা অর্জন করতে পারেনি। বেশির ভাগ অটিজম বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন ব্যক্তিদের পারিবারিক ইতিহাসে অন্য কোন অটিস্টিক ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া যায়। তাই ধারণা করা হচ্ছে যে, এলামেলোভাবে বা হঠাৎ করে কিছু বিরল জেনেটিক পরিবর্তন বা রূপান্তর যা ব্যক্তির অটিজমে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
জেনেটিক তথ্যের যে কোনো পরিবর্তনকেই জেনেটিক রূপান্তর বলা হয়। এই রূপান্তর বংশগত হতে পারে, আবার অনেক ক্ষেত্রে এর কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না। জেনেটিক রূপান্তর কখনো উপকারী, কখনো ক্ষতিকারক আবার কখনো এর কোনো প্রভাব পড়ে না। অনেক ক্ষেত্রে বংশগতির কারণে অটিজমের ঝুঁকি থাকলেও তা সকল শিশুর বেলায় প্রযোজ্য নয়।
পরিবেশগত উপাদান
মানব দেহের বাইরে যা কিছু আছে চিকিৎসা শাস্ত্রে তাকে বলা হয় পরিবেশ। বায়ু থেকে আমরা শ্বাস-প্রশ্বাস নিই, পানি পান করি, গোসল করি, খাবার খাই, ঔষধ সেবন করি, এমন আরো অনেক জিনিস আমাদের শরীরের সংস্পর্শে আসে এরা সবই পরিবেশের অংশ। গবেষকরা পরিবেশের নানা উপাদান নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করছেন যেমন পারিবারিক স্বাস্থ্যগত অবস্থা, পিতা-মাতার বয়স এবং আরো অন্যান্য জনসংখ্যাতাত্ত্বিক উপাদান বিষাক্ত পদার্থের সংস্পর্শে আসা এবং গর্ভাবস্থায় এবং প্রসবকালীন জটিলতা ইত্যাদি।
ধারণা করা হচ্ছে যে, জেনেটিক কারণে কারণে মতই পরিবেশের একাধিক উপাদান অটিজমে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি সৃষ্টি করে। জেনেটিক কারণের মতই পরিবেশের উপাদান এককভাবে অটিজমের ঝুঁকি সুষ্টি করে খুবই কম। বেশিরভাগ মানুষেরই পরিবেশের ঝুঁকিপূর্ণ উপাদানের কারণে অটিজম হয় না। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব এনভায়রনমেন্টাল ঞেলথ সাইন্স এ বিষয়ে গবেষণা পরিচালনা করেছেন। কিভাবে অটিজম হয় এবং এর পরিবর্তন আসে এই বিষয়ে গবেষকগণ নতুন তথ্য আবিষ্কারের চেষ্টা করছেন।
অটিজম স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডার বৈশিষ্ট্যের শিশুর প্রয়োজনীয় সেবা বা পরিচর্যা:
অনেকগুলো চিকিৎসা পদ্ধতি, সামাজিক সেবা ও কার্যক্রম এবং অন্যান্য রিসোর্স আছে যা অটিজম স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডার বৈশিষ্ট্যের শিশুর প্রয়োজনীয় সেবা বা পরিচর্যার ক্ষেত্রে সহায়তা জকরতে পারে।
নিম্নে কিছু পরামর্শ উল্লেখ করা হলো যা এ ধরনের শিশুদের সহায়তা করতে পারে।
Ø স্বাস্থ্য সেবা প্রদানকারী ও শিক্ষকদের সাথে সব কথোপকথন, সভা এবং অন্যান্য তথ্যের রেকর্ড রাখুন। বিভিন্ন চিকিৎসা পদ্ধতি মনে রাখতে আপনাকে সহায়তা করবে।
Ø ডাক্তারের রিপোর্টসমূহ এবং মূল্যায়নের রেকর্ড রাখুন যা বিভিন্ন সময়ে শিশুটির জন্য বিশেষ বিশেষ কার্যক্রমে যেতে সাহায্য করতে পারে।
Ø আপনার এলাকায় বিশেষ কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে স্থানীয় এডভোকেসী অটিজম গ্রুপ থাকলে তাদের সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে।
Ø একটি পরিকল্পনা তৈরি করতে, অন্যান্য স্থানীয় রিসোর্সের সন্ধান পেতে এবং এলাকায় অটিজম বিশেষজ্ঞ খুঁজে বের করতে শিশুর চিকিৎসক, স্কুল কর্তৃপক্ষ বা অটিজম সাপোর্ট গ্রুপ এর সাথে আলাপ আলোচনা করা যেতে পারে।
অটিজম স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডার বৈশিষ্ট্যের শিশুদের বোঝা বা উপলব্ধি করা:-
কিশোর বয়সটা অটিজম স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডারসহ যেকোনো বাড়ন্ত শিশুর জন্যই মানসিক চাপ সৃষ্টির সময়। কৈশোরের সময় কিশোর কিশোরীরা  অন্যেরে ব্যাপারে এবং তাদের সাথে সম্পর্কের ব্যাপারে অনেক বেশী সচেতন হয়ে যায়। বেশীর ভাগ কিশোরেরা মুখের ব্রণ, নিজেদের জনপ্রিয়তা, পরীক্ষার নম্বর বা গ্রেড, ছেলে বা মেয়ে বন্ধুর সাথে সম্পর্ক ইত্যাদি চিন্তিত থাকে। অটিজম স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডার বৈশিষ্ট্যের কিশোররা তাদের সমবয়সীদের থেকে তারা যে আলাদা এই ব্যপারটি বুঝতে পেরে কষ্ট পায়। এ ব্যাপারে সচেনতা দেয়া গেলে নতুন করে আচরণ শিখতে ও তাগেদর সামাজিক দক্ষতা বাড়াতে সচেষ্ট হতে পারে। অন্যের অনুভূতিতে আঘাত, অন্যের সাথে যোগাযোগের ব্যর্থতা, বিষন্নতা বা উদ্বিগ্নতা মানসিক সমস্যার সৃস্টি করতে পারে। কিছু কিছু অটিজম স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডার বৈশিষ্ট্যের শিশুরা অধিকতর অটিস্টিক বা আক্রমণাত্নক আচরণের মাধ্যমে কৈশোরে তাদের মানসিক চাপ প্রকাশ করে থাকে।
অটিজম স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডার বৈশিষ্ট্যের কিশোরদেরও কৈশোরে তাদের যে শারীরিক পরিবর্তন ও যৌন পরিপক্কতা আসে তা বোঝার জন্য সহায়তা দরকার। প্রেয়োজনে চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে। এ বিষয়ে মানসিক চিকিৎসকের সহায়তা নিলে সুবিধা হবে।
অটিজম কীভাবে নির্ণয় করা যায়?
অটিজম স্পেকট্রাম নির্ণয় একটি দুই ধাপ প্রক্রিয়া। প্রথম ধাপে একজন শিশু চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মী দ্বারা সুস্থ্য শিশু চেকআপে শিশুর স্বাভাবিক বিকাশ পর্যবেক্ষণ করা হয়। যে সকল শিশুর বিকাশগত সমস্যা সনাক্ত হয়, তাদেরকে অধিকতর পর্যবেক্ষণের জন্য পাঠানো হয়। দ্বিতীয় ধাপে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক  ও অন্যান্য প্রফেশনালদের সমন্বয়ে একটি পূর্ণ মূল্যায়ন করা হয়। এই পর্যায়ে শিশুর অটিজম বা অন্য কোন বিকাশজনিত সমস্যা আছে কিনা তা নির্ণয় করা যায়।
কম্প্রিহেনসিভ অটিজম চিহ্নিতকরণ:
অন্য কোনো সমস্যার কারণে শিশুর মধ্যে লক্ষণগুলো দেখা যাচ্ছে কিনা তা বের করতে দ্বিতীয় পর্যায়ে সনাক্তকরণ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে হওয়া দরকার।
এছাড়াও, অটিজম স্পেক্ট্রাম ডিজঅর্ডার সনাক্তকরণে অভিজ্ঞ সাইকোলজিস্ট, স্পেশাল এডুকেটর, নিউরোলজিস্ট, সাইকিয়্যাটিস্ট,স্পীচ থেরাপিস্ট বা অন্য পেশাজীবির একটি টীম এই মূল্যায়ন করতে পারে। এই মূল্যায়ন শিশুর কগনেটিভ লেভেল (চিন্তার দক্ষতা), ভাষাগত দক্ষতা এবং ব্যবহারিক দক্ষতা (দৈনন্দিন কাজগুলো নিজে নিজে করার বয়স উপযোগী দক্ষতাগুলো যেমন- খাওয়া, কাপড় পরা ও টয়লেটে যাওয়া ইত্যাদি) হতে পারে।
অটিজম স্পেক্ট্রাম ডিজঅর্ডার একটি জটিল ডিজঅর্ডার যা মাঝে মাঝে অন্যান্য রোগ বা শিখন সমস্যার সাথে দেখা দেওয়ার কারণে মস্তিষ্কের ইমেজিং, জীন পরীক্ষা, স্মৃতি শক্তি, সমস্যা-সমাধান ও ভাষাগত দক্ষতার পরীক্ষা কম্প্রিহেনসিভ মূল্যায়নের অন্তর্ভূক্ত করা হয়ে থাকে। এই কম্প্রিহেনসিভ মূল্যায়নের অংশ হিসেবে বিকাশে পেছানো শিশুদেরকে শ্রবণ পরীক্ষা  লেড পয়জনিং পরীক্ষা করা উচিত।
অটিজম স্পেক্ট্রাম ডিজঅর্ডার হওয়ার পাশাপাশি শিশুদের শ্রবণের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। অটিজম স্পেক্ট্রাম ডিজঅর্ডারের সাধারণ লক্ষণগুলো ছাড়াও অনেক ক্ষেত্রে (যেমন-নাম ডাকলেও ত্কায় না) মনে হতে পারে তারা শুনতে পায় না কিন্তু তারা আসলে শুনতে পায়। একটি শিশু যদি অন্যের কথায়, বিশেষ করে তার নাম ডাকলে কোনো সাড়া না দেয়, তাহলে তার শবণ সমস্যা আছে কিনা তা পরীক্ষা করা অত্যন্ত জরুরি।
অটিজমের চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা:
অদ্যাবধি অটিজমের নিরাময়যোগ্য কোন চিকিৎসা পদ্ধতি প্রমাণিত হয়নি তথাপি অটিজমের দ্রুত চিকিৎসা, যথোপযোগী স্কুল শিক্ষা, প্রশিক্ষণ কর্মসূচী গ্রহণ এবং সঠিক স্বাস্থ্য সেবা একটি শিশুর অটিজমের সমস্যাগুলি অনেক হ্রাস করে, শিশুর সঠিকভাবে বেড়ে ওঠা ও নতুন দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
প্রারম্ভিক প্রশিক্ষণ কৌশল:
গবেষণায় দেখা গেছে যে নিবিড় ব্যবহারিক পরিচর্যা শিশু বয়সের এবং প্রাক প্রাথমিক স্কুলগামী অটিজমে আক্রান্ত ছোট শিশুদের ভাষা ও বুদ্ধিমত্তা বিকাশে অভাবনীয় উন্নতি এস। সকল অটিস্টিক শিশুর জন্য এককভাবে কোনো শ্রেষ্ঠ চিকিৎসা নেই। সম্প্রতি আমেরিকান একাডেমি অব পেডিয়াট্রিক্স প্রাক প্রাথমিক প্রশিক্ষণ কৌশল উদ্ভাবন করার পর শিশুকে প্রশিক্ষণের আওতায় এনে থাকে, যা নিম্নে উল্লেখ করা হলো:-
1.   একটি শিশুর অটিজম নির্ণিত হওয়ার পর যথাসম্ভব শীগ্র তাকে পশিক্ষণের আওতায় আনা।
2.  প্রত্যেকটি শিশুকে তার যথোপযোগী বিকাশগত অবস্থান অনুযায়ী নিবিড়, কেন্দ্রীভূত এবং চ্যালেঞ্জিং শিক্ষার কার্যক্রমের ব্যবস্থা করা।
3.  ছোট ছোট ক্লাসে সম্ভব হলে 1:1 ছাত্র শিক্ষক বা থেরাপিস্টের ভিত্তিতে প্রশিক।ষণের ব্যবস্থা করা এবং ছোট ছোট দলীয় শিক্ষা কার্যক্রমের ব্যবস্থা করা।
4.   অভিভাবক ও পরিবারের সদস্যদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা।
5.  সুনির্দিষ্ট কিছু শিক্ষা প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যকে সফল করার লক্ষ্যে এমন কিছু কার্যক্রমকে উৎসাহিত করা যাতে স্বাভাবিক বিকাশপ্রাপ্ত শিশুদের অন্তর্ভূক্ত করা যায়।
6.  প্রত্যেকটি শিশুর উন্নতি পরিমাপ করা এবং লিপিবদ্ধ করা এবং সেই অনুযায়ী কার্যক্রমকে পূণর্বিন্যাস করা।
7.   পরিকল্পিত কার্যক্রমে শিশুকে অধিক মনোযোগী করার লক্ষে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি সুনিশ্চিত করা:-
Ø উচ্চমাত্রায় সুসংঘটিত কার্যক্রম
Ø কার্যক্রমের রুটিন
Ø প্রতিটি কার্যক্রমের ছবি সম্বলিত রুটিনের ব্যবহার এবং প্রদর্শন।
8.  অর্জিত দক্ষতা/দক্ষতাগুলিকে নতুননতুন পরিবেশে ও পরিস্থিতিতে কাজে ণাগানোর ক্ষেত্রে এবং বজায় রাখতে নির্দেশনা ও প্রশিক্ষণ দেয়া।
9.  পাঠ্যসূচিতে নিম্নলিখিত বিষয়গুলির উপর অধিক মনোযোগী হওয়া-
ভাষা ও যোগাযোগ:
ü সামাজিক দক্ষতা যেমন- জয়েন্ট এ্যাটেনশন (অন্য কোন ব্যক্তির দিকে তাকিয়ে তার মনোযোগ আকর্ষণ করে কোনো আকর্ষণীয় বা পছন্দের কিছু দেখানো এবং অভিজ্ঞতা করা)।
ü আত্মনির্ভশীল এবং প্রাত্যহিক কাজের দক্ষতা যেমন – জামা-কাপড় পরা, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ইত্যাদি।
ü চ্যালেঞ্জিং ব্যবহার যেমন- আক্রমণাত্নক আচরণ ও চিৎকার চেচামেচি কমানোর লক্ষ্যে গবেষণা নির্ভর পদ্ধতির ব্যবহার।
ü জ্ঞানীয় দক্ষতা যেমন- মিছেমিছি খেলা বা অন্যের চিন্তাধারাকে খেয়াল করা।
ü সাধঘারণ স্কুলে যাবার দক্ষতা যেমন-বর্ণমালা চেনা, সংখ্যা ঘণনা করা।

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post