মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা এবং শিক্ষকের করণীয়

মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা: শিক্ষকের করণীয়
মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা কথাটি বর্তমানে বাংলাদেশের শিক্ষা ক্ষেত্রে সর্বাধিক আলোচিত একটি কথা। আমার এগারো বছরের শিক্ষকতা জীবনে সবচয়ে বেশি শোনা কথা এটি। আসলে মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা কী?
যে শিক্ষা শিক্ষার্থীর শিক্ষাস্তর অনুযায়ী জ্ঞানের বিকাশ ঘটায়, জ্ঞানকে বাস্তবে প্রয়োগ করে সমস্যা সমাধানের দক্ষতার উন্নয়ন ঘটায় এবং সমাজ কাঙ্খিত দৃষ্টিভঙ্গি সৃষ্টিতে সহায়তা করে তাকে মানসম্মত শিক্ষা বা কোয়ালিটি এডিকেশন বলে।
প্রাথমিক শিক্ষা হচ্ছে সকল ধরনের শিক্ষার ভিত্তিস্বরূপ। যে কোন অবকাঠামোর ভিত্তি যদি মজুবত না হয়, তাহলে সেটা ঝুকিপূর্ণ বলে আমরা ধরে নেই। তদ্রুপ প্রাথমিক শিক্ষা যদি মানসম্মত না হয়; তবে পরবর্তী শিক্ষাস্তর এমন কি কোন উন্নয়নই টেকসই হওয়ার কথা নয়।
আর মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়নে শিক্ষক হলেন কী পারসন। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বেশির ভাগ অভিভাবকই  অসচেতন। তারা অনেক সময়ই খোঁজ রাখেন না তাঁর সন্তান বিদ্যালয়ে গিয়েছে কিনা। ফলে শিক্ষককে একসাথে শিক্ষক এবং অভিভাবক উভয় দায়িত্বই পালন করতে হয়। আমি আমার দীর্ঘ দিনের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতায় এটা বলতে পারি যে, একজন শিক্ষক যদি আন্তরিকতার সাথে নিচের করণীয়গুলো পালন করে তাহলে মানসম্মত শিক্ষা বাস্তবায়ন সম্ভব।
মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতকরণে শিক্ষকের করণীয়:
* অভিভাবকদের যোগাযোগ বৃদ্ধি করা। এজন্য নিয়মিত মা সমাবেশ, অভভাবক সমাবেশ, উঠান বৈঠক, শ্রেষ্ঠ মা নির্বাচন ইতাদি করা যেতে পারে।
* শ্রেণিকক্ষে মনোমুগ্ধকর ও আনন্দঘন শিশু বান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করা।
* পাঠদানে পাঠ উপযোগী আকর্ষনীয় উপকরণ ব্যবহার করা।
* শিখন-শেখানো কার্যক্রমের শিশুর স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।
* শিশুদের পাঠ বুঝতে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা।
* শিশুর সাথে স্নেহ ও ভালবাসার মাধ্যমে সম্পর্ক উন্নত করা।
* শিশুদেরকে পাঠে অংশগ্রহণ ও কথা বলায় উৎসাহিত করা।
* পিছিয়ে পড়া ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেয়া।
* শিশুদের শাস্তি পরিহার করা।
* অভিভাবকদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে টিফিন নিশ্চিত করা।
* শিক্ষকগণ প্রাপ্ত প্রশিক্ষণ যথাযথভাবে শ্রেণিকক্ষে প্রয়োগ করা।

* মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে ক্লাস নেয়া।

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post