ডিজিটাল প্রযুক্তি ৬ষ্ঠ শ্রেণি ৪র্থ অধ্যায় প্রশ্নোত্তর
প্রশ্ন ২। কীভাবে তথ্য আদান-প্রদান ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে?
উত্তর : ডিজিটাল কিংবা ডিজিটাল নয় যেকোনো মাধ্যমে তথ্য আদান- প্রদান
ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। অনেক সময় আমাদের ভুল বা অসচেতনার জন্য তথ্য আদান-প্রদান
ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে থাকে। আবার অনেক সময় আমাদের অনুমতি ছাড়া অন্য কেউ আমাদের তথ্য চুরি
করে থাকে যা আমাদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। যে তথ্য চুরি করে তাকে হ্যাকার বলে এবং এই
পদ্ধতিকে হ্যাকিং বলে।
প্রশ্ন ৩। তথ্য আদান-প্রদানের ঝুঁকি বলতে কী বোঝায়? তথ্য আদান প্রদান
ঝুকিপূর্ণ হলে কী কী ক্ষতি হতে পারে?
উত্তর: সব তথ্যই সবার কাছে আদান-প্রদান করা যায় না। অনেক সময়
ভূল বা অসচেতনতায় বা অনুমতি ছাড়াই তথ্য আদান-প্রদান হয়ে যেতে পারে। এই অবস্থাকে
তথ্য আদান-প্রদানের ঝুঁকি বলা হয়।
তথ্য আদান প্রদান ঝুকিপূর্ণ হলে আমরা নানাবিধ
ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারি। এসব ঝুকিতে আমাদের সামাজিক, মানসিক ও আর্থিক ক্ষতি হতে পারে।
প্রশ্ন ৪। তথ্য বিশ্লেষণ করার সময় কয়টি ব্যাপার বিবেচনায় রাখা হয় এবং
সেগুলো কী কী?
উত্তর: তথ্য বিশ্লেষণে ২টি বিষয় বিবেচনা করতে হয়। যথা—
১. কতজন কোন মাধ্যম ব্যবহারের কথা বলল তা তালিকা আকারে লিখা।
২. কোন প্রশ্নের সংক্ষেপে উত্তরের একাধিক মতামত থাকলে
সেগুলো তালিকা আকারে উল্লেখ করা। বিশেষ করে কোন ধরনের ঝুঁকির সম্মুখীন হয়েছে তার
তালিকা করা।
প্রশ্ন ৫। কর্ম পরিকল্পনা কাকে বলে?
উত্তর: আমাদের কোনো উদ্দেশ্য বা কাজকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন
করতে পরিকল্পনা অনুযায়ী ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন করার কৌশলই হলো কর্মপরিকল্পনা।
প্রশ্ন ৬। জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রকাশ হওয়ার ঝুঁকি মোকাবিলার কী কৌশল
অবলম্বন করা যায়?
উত্তর: জন্ম নিবন্ধন সনদটি নিরাপদে রাখা। অর্থাৎ
যেখানে-সেখানে এর ফটোকপি না ফেলে রাখা, এর ডিজিটাল কপি অন্য কারও কম্পিউটারে না রাখা, বিশ্বস্ত ব্যক্তি ছাড়া অন্য কারও সাথে এটি শেয়ার না করা।
প্রশ্ন ৭। তথ্য আদান-প্রদানের ঝুঁকি কত ধরনের ও কী কী হতে পারে?
উত্তর: তথ্য আদান-প্রদানের ঝুঁকি ২ ধরনের হতে পারে। যথা-
১. ডিজিটাল মাধ্যমের ঝুঁকি।
২. নন-ডিজিটাল/সাধারণ মাধ্যমের ঝুঁকি।
প্রশ্ন ৮। কোন ধরনের তথ্য ঝুাকপূর্ণ হতে
পারে?
উত্তর: তথ্য আদান প্রদান কিংবা অনলাইনের তথ্য শেয়ার করার ক্ষেত্রে সচেতন সা থাকলে বিভিন্ন
ঝুঁকির সম্মুখীন হতে হয়। এসব ঝুঁকিতে সামাজিক, আর্থিক মানসিক ক্ষতি হতে পারে। যেসব ব্যক্তিগত তথ্য আমাদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে-
● ফোন নম্বর
● ই-মেইল এর ঠিকানা এবং পাসওয়ার্ড
● ব্যাংক একাউন্ট নম্বর
● ব্যাংকের ATM কার্ডের পিন নম্বর
● জন্মনিবন্ধন সনদ বা পাসপোর্ট
● নিজের ছবি
প্রশ্ন ৭। ইন্টারনেটে তথ্য আদান প্রদানে কোনো ঝুঁকি রয়েছে কী?
উত্তর: তথ্য আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে সামান্য
অসাবধানতায় মারাত্মক ঝুঁকির সম্ভাবনা রয়েছে। সাধারণত তরুণেরা এ ধরনের ঝুঁকিতে বেশি
থাকে। নতুন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রেও একই ঝুঁকি রয়েছে।
প্রশ্ন ৮। কোন কাজ থেকে বিরত থাকলে এসব ঝুঁকি থেকে নিরাপদ থাকা যাবে?
উত্তর: ঝুঁকি এড়াতে নিচের কাজ থেকে বিরত থাকতে
হবে-
১. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে অবশ্যই লগ-
আউট করতে হবে।
২. কাউকে অতি ব্যক্তিগত তথ্য প্রদানে অধিক সচেতনতা অবলম্বন
করা উচিত।
৩. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর অবাধ ব্যবহার পরিহার করা
উচিত।
৪. না বুঝে কোথাও ফরম পূরণ না করা।
৫. ডিজিটাল মাধ্যমে দুর্বল ও সহজ পাসওয়ার্ড ব্যবহার না করা।
প্রশ্ন ৯। তথ্য আদান-প্রদানে অভিজ্ঞ কারও সহায়তা নিতে পারি?
উত্তর: তথ্য
প্রযুক্তি বিষয়ক শিক্ষক, অভিভাবক, বড় ভাই কিংবা বড়
আপুর সহায়তা নিতে পারবে।
আমরা ইতোমধ্যে তথ্য আদান-প্রদানের ঝুঁকি ও অপর দুটি কাজ করে
ফেলেছি, আমরা একটি জরিপ
পরিচালনা করেছি, আবার একজন
বিশেষজ্ঞের মতামতও নিয়েছি। এর মাধ্যমে আমাদের অনেকগুলো ঝুঁকি শনাক্ত হয়ে গেছে।
এবার প্রাপ্ত ঝুঁকিগুলোর আমরা একটি তালিকা তৈরি করব। তালিকায় আমরা ডিজিটাল
মাধ্যমের ঝুঁকি এবং সাধারণ মাধ্যমের ঝুঁকি আলাদা করব।
প্রশ্ন ১০। ব্যক্তিগত তথ্য বলতে কী বোঝ?
উত্তর: যে তথ্যের মাধ্যমে একজন ব্যক্তির পরিচয় চিহ্নিত করা
যায়,
তাই হচ্ছে ব্যক্তিগত তথ্য। এছাড়া ফোন নম্বর, ই-মেইল এর ঠিকানা, স্বাক্ষর, জন্ম নিবন্ধন সনদ বা পাসপোর্ট, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর সবই ব্যক্তিগত তথ্যের মধ্যে পড়ে।
এসব তথ্য নিজে জানাতে না চাইলে অন্য কারও জানার কথা নয় কিংবা জানতে হলে অনুমতি নিয়ে
জানতে হবে।
প্রশ্ন ১১। কীভাবে তথ্য আদান প্রদান ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে?
উত্তর: ডিজিটাল কিংবা ডিজিটাল নয় এমন যেকোনো মাধ্যমে তথ্য
আদান-প্রদান হতে পারে। এমনকি আমাদের ভুল বা অসচেতনার জন্য তথ্য আদান-প্রদান
ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। আবার অনেক সময় আমাদের অনুমতি ছাড়াও অন্য কেউ আমাদের তথ্য
চুরি করে থাকে যা আমাদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। যে তথ্য চুরি করে তাকে হ্যাকার এবং তথ্য
চুরি করার পদ্ধতিকে হ্যাকিং বলে।
প্রশ্ন ১২। প্ল্যাকার্ড তৈরির সময় কোন কোন বিষয়গুলো বিবেচনা করা উচিত?
উত্তর: প্ল্যাকার্ড তৈরির সময় যে বিষয়গুলো বিবেচনা করা উচিত
সেগুলো হলো-
১. ঝুঁকির কারণ
২. ঝুঁকির ধরন
৩. ডিজিটাল মাধ্যমে ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা লঙ্ঘনের আইনি
দিক
৪. সামাজিক ও নৈতিক দিক
৫. ঝুঁকি মোকাবিলায় করণীয়
৬. ঝুঁকি মোকাবিলায় সচতেনতা
প্রশ্ন ১৩। প্ল্যাকার্ড প্রদর্শনের নিয়মগুলো কী কী তা লিখ।
উত্তর: প্ল্যাকার্ড প্রদর্শনের নিয়মগুলো হলো-
১. প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিদ্যালয়ের বারান্দা বা এমন স্থান থেকে
প্রদর্শন করতে হবে যেন তা বিদ্যালয়ের বাইরের লোকজনও দেখতে পায়।
২. প্ল্যাকার্ড নিয়ে শৃঙ্খলার সঙ্গে প্রদর্শন করতে হবে। এই
প্রদর্শনটির সময় কেউ যদি এ ব্যাপারে জানতে চান তখন এই বিষয়ে তথ্য দিতে হবে এবং
বুঝিয়ে বলতে হবে।
৩. প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন কার্যক্রমটি ৩০ মিনিট পর্যন্ত
চলবে। সম্পূর্ণ কার্যক্রমে বিদ্যালয়ের শিক্ষকও সঙ্গে থাকবেন।
১৪। তথ্য
আদান-প্রদান ঝুঁকিপূর্ণ হলে কী কী ক্ষতি হতে পারে?
উত্তর : তথ্য আদান-প্রদান ঝুঁকিপূর্ণ হলে আমাদের বিভিন্ন রকমের
ক্ষতি হতে পারে। যেমন-
সামাজিক ক্ষতি : আমাদের কোনো ব্যক্তিগত তথ্য চুরি হলে শুধু
যে নিজের ক্ষতি হয় তাই নয়, সমাজেরও ক্ষতিসাধন হয়। যেমন- আমাদের কোনো ব্যক্তিগত ছবি জনসম্মুখে প্রকাশ হওয়া।
আর্থিক
ক্ষতি : মাঝে মাঝে এমন হয় আমাদের ব্যক্তিগত তথ্য আদান- প্রদানের সময় তৃতীয় কোনো
ব্যক্তি যে তথ্য চুরি করে নেয় এবং আমাদের কাছে টাকা দাবি করে এবং হুমকি দিয়ে থাকে।
মানসিক
ক্ষতি : ব্যক্তিগত তথ্য চুরি হলে সামাজিক বা আর্থিক ক্ষতির চেয়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি
হয় ব্যক্তির নিজের। যেমন: ব্যক্তিগত কোনো ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পরলে বিব্রতকর
অবস্থায় পড়তে হয় এবং তার মানসিক চাপ সৃষ্টি হয়।